নোটিশ:
নিয়মিত ফ্রী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে ও শিক্ষামূলক সকল তথ্য পেতে গুগল বা ক্রোম ব্রাউজারে সার্চ করুন Active MCQ অথবা ভিজিট করুন- https://activemcq.com এই ওয়েব সাইটে।
অ্যাপটি সমস্যার কারণে অ্যাপে পরীক্ষা বন্ধ আছে। খুব শীঘ্রই আমরা সমস্যার সমাধান করে নতুন অ্যাপ আপনাদের উপহার দিবো ইনশা-আল্লাহ।
সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত
Ads
Active MCQ – https://activemcq.com ওয়েব সাইটে যে সকল সেবা পাওয়া যাবে-
১/রুটিন অনুযায়ী দৈনিক পড়াশোনার মডেল টেস্ট।
২/দৈনিক মডেল টেস্ট পরীক্ষা।
৩/মডেল টেস্ট ও মডেল টেস্ট পরীক্ষা।
৪/বিগত সালের চাকরি ও ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, উত্তর সহ ব্যাখ্যা।
৫/সাম্প্রতিক তথ্য।
৬/চাকরির খবর।
৭/দৈনিক পত্রিকা।
৮/শিক্ষা বোর্ড তথ্য।
৯/ম্যাধমিক শ্রেণীর পিডিএফ বই।
১০/চাকরি ও ভর্তি পরীক্ষার সাজেশন।
এছাড়াও শিক্ষামূলক অন্যান্য তথ্য।
হেল্প লাইন হোয়াটসঅ্যাপ-01552653514
সততার মূল্য
অনেক দিন আগের কথা। একটি ছোট্ট গ্রামে কাদির নামে এক গরীব কৃষক বাস করত। তার একটিমাত্র জমি ছিল, যা চাষ করে সে তার পরিবারের জন্য ফসল ফলাত। কাদির ছিলেন অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং সৎ। তবে তার একটাই সমস্যা ছিল—সে সবসময় দুঃখ করত যে, তার কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। তার মনোবল ছিল দুর্দান্ত, এবং সে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করত যে সৎ পথে চললে একদিন সে সফল হবে।
একদিন, কাদির তার ক্ষেতে কাজ করছিলেন। আচমকা, তার কোদালের আঘাতে মাটির নিচ থেকে একটি ভারী কিছু বেরিয়ে এল। সে মাটি সরিয়ে দেখতে পেল একটি পুরনো সোনার মুদ্রায় ভরা কলস! কাদির বিস্মিত হয়ে ভাবল, এত সম্পদ দিয়ে সে তার জীবন পরিবর্তন করতে পারে।
কিন্তু তার মন তখন দ্বিধায় পড়ল। কাদির জানত, এই সোনা তার নয়, এবং এটি সে রাখতে পারবে না। তার ভেতরের সততা তাকে বারবার বলছিল, সোনা কারো না কারো, তাই সেটা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত।
দীর্ঘ চিন্তার পর কাদির ঠিক করল, গ্রামের প্রধানের কাছে গিয়ে সবকিছু জানাবে। গ্রামের প্রধান ছিলেন জ্ঞানী ও ন্যায়পরায়ণ মানুষ। কাদির প্রধানের কাছে গিয়ে পুরো ঘটনা খুলে বলল। প্রধান কাদিরের সততা দেখে খুব খুশি হলেন এবং তাকে বললেন, “তুমি চাইলেই এই সোনা নিজের কাছে রাখতে পারতে। কিন্তু তোমার সততা প্রমাণ করে তুমি একজন মহান মানুষ।”
প্রধান আরও বললেন, “এই কলসটি সম্ভবত বহু বছর আগের। এটি কোনো মৃত ব্যক্তির সম্পদ হতে পারে, যার উত্তরাধিকারী নেই। সুতরাং, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম, এই সোনা তুমি পাবে। কারণ সততার মূল্য অপরিসীম, এবং এই সোনা তোমার পুরস্কার।”
কাদির প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিল না যে এত সোনা তার হতে পারে। কিন্তু প্রধানের আদেশে সে মেনে নিল। সে প্রধানকে ধন্যবাদ জানিয়ে সোনার কলস নিয়ে বাড়ি ফিরল।
সেই সোনা বিক্রি করে কাদির তার জমি বাড়াল, কৃষিকাজের জন্য আরও আধুনিক যন্ত্রপাতি কিনল এবং গ্রামের গরিব মানুষদের সাহায্য করল। তার সততার কারণে সে শুধু নিজের জীবন নয়, পুরো গ্রামের জীবনও পরিবর্তন করতে সক্ষম হলো।
সেই দিনের পর থেকে গ্রামের সবাই কাদিরকে আরও বেশি সম্মান করতে শুরু করল। তিনি গ্রামের একজন আদর্শ ব্যক্তি হয়ে উঠলেন, এবং তার সততার কাহিনী সবাইকে অনুপ্রাণিত করল।
গল্পের শিক্ষা:
সততার ফল সর্বদা মঙ্গলময়। টাকা-পয়সা বা সম্পদ দিয়ে প্রকৃত সুখ পাওয়া যায় না, কিন্তু সততা দিয়ে পাওয়া যায় অমূল্য সম্মান ও সুখ।
Ads
হার না মানা মনোবল
রাজু নামে একটি ছেলে ছিল, যার পরিবার আর্থিকভাবে খুবই দুর্বল ছিল। তার বাবা ছিলেন একজন রিকশাচালক, আর মা গৃহিণী। রাজু ছোটবেলা থেকেই খুব মেধাবী এবং পরিশ্রমী ছিল। তবে তার স্বপ্ন ছিল অনেক বড়—সে চেয়েছিল একজন ইঞ্জিনিয়ার হতে। কিন্তু পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার কারণে রাজুর পক্ষে উচ্চশিক্ষার খরচ চালানো খুবই কঠিন ছিল।
রাজু কখনো দুঃখ করত না; বরং কঠোর পরিশ্রম করত। সে ক্লাসের সবার চেয়ে ভালো ফল করত এবং শিক্ষকেরা তাকে খুব ভালোবাসত। তবে মাধ্যমিক পরীক্ষার পরে যখন তার কলেজে ভর্তি হওয়ার সময় এল, তখনই সমস্যা দেখা দিল। তার বাবা-মা অনেক চেষ্টা করেও পর্যাপ্ত টাকা জোগাড় করতে পারছিলেন না, যা তার কলেজের ভর্তি ও পড়ার খরচে লাগবে।
রাজু হতাশ হলেও আশা ছাড়ল না। সে ভাবতে লাগল, কীভাবে পড়ালেখা চালিয়ে যাওয়া যায়। একদিন তার এক শিক্ষক তাকে বললেন যে বিভিন্ন বৃত্তি পরীক্ষার মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার জন্য টাকা পাওয়া সম্ভব। রাজু সেই সুযোগকে শক্ত করে ধরল এবং বৃত্তির জন্য আবেদন করতে শুরু করল।
রাজু দিনরাত পড়ালেখা করত। একদিকে সে স্কুলের পড়া চালিয়ে যাচ্ছিল, অন্যদিকে বিভিন্ন বৃত্তির পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। তার প্রচেষ্টা বিফল হলো না। সে একটি বড় বৃত্তি পেল, যা তার কলেজের পুরো পড়ার খরচ বহন করবে। এই বৃত্তি পাওয়ার পর রাজুর জীবনের একটা বড় দিক পরিবর্তন হল।
কলেজে ভর্তি হওয়ার পরেও রাজু আগের মতোই কঠোর পরিশ্রম করতে থাকল। তার লক্ষ্য ছিল দেশের সেরা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া। কলেজের শেষ বছরে রাজু দেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলোর একটিতে অংশ নিল, এবং তার ফলাফল অসাধারণ ছিল। সে দেশের একটি নামকরা ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেল।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পড়ালেখাও খুব সহজ ছিল না। তবে রাজুর হার না মানা মনোবল এবং অধ্যবসায় তাকে সফল হতে সাহায্য করল। সে স্নাতক ডিগ্রি শেষ করার পর একটি বড় আন্তর্জাতিক কোম্পানি থেকে চাকরির প্রস্তাব পেল। তার জীবনের স্বপ্ন পূরণ হলো।
যে রাজু একসময় আর্থিক কষ্টে দিন কাটাত, সেই রাজু এখন তার পরিবারের জন্য একটি নতুন ঘর বানাল। তার বাবা-মা তার সফলতায় গর্বিত। রাজু তার গ্রামের ছেলে-মেয়েদেরও অনুপ্রাণিত করল যে, চেষ্টা ও পরিশ্রম কখনো ব্যর্থ হয় না।
গল্পের শিক্ষা:
কঠোর পরিশ্রম, দৃঢ় মনোবল, এবং সঠিক দিকনির্দেশনা থাকলে জীবনের যে কোনো প্রতিকূলতাকে জয় করা সম্ভব। রাজুর মতো কেউ যদি নিজের স্বপ্নকে বিশ্বাস করে এবং তা অর্জনের জন্য লড়াই করে, তবে সফলতা তার কাছে ধরা দেবে।